Leonardo_Lightning_XL_Create_an_appealing_banner_image_for_a_b_2 (2)

মু’মিনের জন্য তাওবার গুরুত্ব ও পদ্ধতি

সূচি তালিকা

১) তাওবার গুরুত্ব

ক) কুরআনের আয়াত থেকে তাওবার গুরুত্ব:

কুরআনের আয়াত-১:

إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَٰلِحًا فَأُو۟لَٰٓئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَيِّـَٔاتِهِمْ حَسَنَٰتٍۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

তবে যে (***তাওবা) করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, ফলে আল্লাহ্‌ (তাদের ***গুণাহসমূহ) (***নেক) দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [২৫:৭০]

وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَإِنَّهُۥ يَتُوبُ إِلَى ٱللَّهِ مَتَابًا

আর যে (***তাওবা করে) ও সৎকাজ করে, সে তো সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্‌র অভিমুখী হয়। [২৫:৭১]

যেমন অন্যত্র আল্লাহ্ তা’আলা বলেন –

مَن جَآءَ بِٱلْحَسَنَةِ فَلَهُۥ عَشْرُ أَمْثَالِهَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجْزَىٰٓ إِلَّا مِثْلَهَا وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

কেউ কোন সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ পাবে। আর কেউ কোন অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তার অনুরূপ প্রতিফলই দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। [০৬:১৬০]

কুরআনের আয়াত-২:

إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلْمُتَطَهِّرِينَ

নিশ্চয় আল্লাহ (***তাওবাকারীদেরকে) ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে। [০২:২২২]

খ) হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ থেকে তাওবার গুরুত্ব:

হাদিস নং-১:

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ جَعْفَرٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ (لَمْ ***تُذْنِبُوا) (***لَذَهَبَ) اللَّهُ بِكُمْ وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ (***يُذْنِبُونَ) (***فَيَسْتَغْفِرُونَ) اللَّهَ (***فَيَغْفِرُ) لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে সত্তার হাতে আমার জীবন,[আমি তাঁর কসম করে বলছি], তোমরা যদি (***গুনাহ/পাপ না করতে) তবে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের (***নিশ্চিহ্ন করে) এমন সম্প্রদায় বানাতেন যারা (***পাপ করে) আল্লাহর কাছে (***ক্ষমা চাইতো) এবং তিনি তাদের (***মাফ করে দিতেন)।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৮৫৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

হাদিস নং-২:

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ (كُلُّ ابْنِ آدَمَ {***خَطَّاءٌ}) (وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ {***التَّوَّابُونَ}) ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (প্রত্যেক আদম সন্তান {***ত্রুটিশীল[অপরাধী]}।) (আর অপরাধীদের মধ্যে উত্তম হচ্ছে যারা {***তাওবাহ করে}।)
জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪৯৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

২) তওবা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসের দলিল

তওবা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে উম্মতের ঐকমত্যও বিদ্যমান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন:

কুরআনের আয়াত-১:

وَ(***تُوبُوا إِلَى *اللهِ *جَمِيْعًا) (أَيُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ)

অর্থাৎ, আর (তোমরা *সকলে *আল্লাহর কাছে ***তওবা/[প্রত্যাবর্তন] কর), (যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
[সূরা আন-নূর(২৪):৩১]

কুরআনের আয়াত-২:

اسْتَغْفِرُوا *رَبَّكُمْ ثُمَّ ***تُوْبُوا إِلَيْهِ*

অর্থাৎ, (তোমরা নিজেদের *প্রতিপালকের নিকট [পাপের জন্য] *ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর কাছে ***তওবা/[প্রত্যাবর্তন] কর)। [সূরা হূদ(১১):০৩]

কুরআনের আয়াত-৩:

(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا ***تُوْبُوا إِلَى *اللهِ تَوْبَةً ***نَصُوْحًا)

অর্থাৎ, (হে ঈমানদারগণ! তোমরা *আল্লাহর নিকট ***তওবা কর; ***বিশুদ্ধ তওবা)। [সূরা আত-তাহরীম(৬৬):০৮]

হাদিসে রাসূলুল্লাহ:

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : سمعْتُ رسولَ الله ﷺ يقول : والله إنِّي *لأَسْتَغْفِرُ الله و***أَتُوبُ إِلَيْه في *اليَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ ***سَبْعِينَ مَرَّةً. (رواه البخاري)

আবূ হুরাইরাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “আল্লাহর কসম! আমি *প্রত্যহ ***৭০ বারের অধিক আল্লাহর নিকট *ক্ষমাপ্রার্থনা ও ***তওবা করি)।
সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৩) তাওবা করার পদ্ধতি

কুরআনের আয়াত-১:

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ تُوبُوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ يَوْمَ لَا يُخْزِى ٱللَّهُ ٱلنَّبِىَّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥۖ نُورُهُمْ يَسْعَىٰ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَٰنِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَٱغْفِرْ لَنَآۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহর কাছে (***তাওবা কর)-
(***বিশুদ্ধ তাওবা); সম্ভবত তোমাদের রব (তোমাদের ***পাপসমূহ) মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ({***সেদিন} আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না নবীকে এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে। ({তাদের ***নূর} তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে।) তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব! (আমাদের জন্য {আমাদের ***নূরকে পূর্ণতা দান করুন} এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন), নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।’ [৬৬:০৮]

কুরআনের আয়াত-২:

إِنَّمَا ٱلتَّوْبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُو۟لَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

আল্লাহ অবশ্যই সেসব লোকের (***তাওবাহ্‌ কবুল করবেন) যারা (***অজ্ঞতাবশতঃ) মন্দ কাজ করে এবং যারা (***তাড়াতাড়ি) (***তাওবাহ্‌ করে), এরাই তারা, আল্লাহ যাদের (***তাওবাহ্‌ কবুল করেন)। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [০৪:১৭]

وَلَيْسَتِ ٱلتَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلْمَوْتُ قَالَ إِنِّى تُبْتُ ٱلْـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌۚ أُو۟لَٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

আর ({***তাওবাহ্‌ তাদের জন্য নয় যারা [আজীবন] মন্দ কাজ করে}, {অবশেষে তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, ‘আমি এখন ***তাওবাহ্‌ করছি’}) এবং (তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় ***কাফের অবস্থায়।) (এরাই তারা যাদের জন্য আমরা কষ্টদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করেছি)। [০৪:১৮]

কুরআনের আয়াত-৩:

وَٱلَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا۟ فَٰحِشَةً أَوْ ظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ ذَكَرُوا۟ ٱللَّهَ فَٱسْتَغْفَرُوا۟ لِذُنُوبِهِمْ وَمَن يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ إِلَّا ٱللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا۟ عَلَىٰ مَا فَعَلُوا۟ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবে? এবং তারা যা করে ফেলে, জেনে-বুঝে তারা তা পুনরায়/বার বার করতে থাকে না। [০৩:১৩৫]

৪) কাবীরা গোনাহ্ থেকে বিরত থাকা ও আল্লাহ্ কর্তৃক ক্ষমার আশ্বাস

কুরআনের আয়াত-১:

إِن تَجْتَنِبُوا۟ كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا

তোমদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা (***কবীরা গোনাহ্‌) তা থেকে বিরত থাকলে আমরা তোমাদের ছোট পাপগুলো ক্ষমা করব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব। [০৪:৩১]

কুরআনের আয়াত-২:

ٱلَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلْإِثْمِ وَٱلْفَوَٰحِشَ إِلَّا ٱللَّمَمَۚ إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلْمَغْفِرَةِۚ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ وَإِذْ أَنتُمْ أَجِنَّةٌ فِى بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمْۖ فَلَا تُزَكُّوٓا۟ أَنفُسَكُمْۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ

যারা বিরত থাকে (***কবীরা গোনাহ্‌/গুরুতর পাপ) ও (***অশ্লীল কাজ) থেকে, ছোটখাট অপরাধ ব্যতীত। নিশ্চয় আপনার রবের ক্ষমা অপরিসীম ; তিনি তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত—যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন মাটি হতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে ছিলে। অতএব তোমরা আত্মপ্ৰশংসা করো না, তিনিই সম্যক জানেন তার সম্পর্কে যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে। [৫৩:৩২]

কুরআনের আয়াত-৩:

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفْتَرَىٰٓ إِثْمًا عَظِيمًا

নিশ্চয় আল্লাহ (তাঁর সাথে ***শরীক করাকে) (***ক্ষমা করেন না)। (এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ***ইচ্ছে ***ক্ষমা করেন।) আর (যে-ই আল্লাহর সাথে ***শরীক করে, সে এক ***মহাপাপ রচনা করে।) [০৪:(৪৮,১১৬)]

কুরআনের আয়াত-৪:

قُلْ يَٰعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

বলুন, ‘হে আমার বান্দাগণ! (তোমরা যারা নিজেদের প্রতি {***বাড়াবাড়ি/অবিচার করেছ})-(আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না); (নিশ্চয় আল্লাহ {সমস্ত ***গোনাহ} {***ক্ষমা} করে দেবেন।) (নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’) [৩৯:৫৩]

৫) ‘উলামা সম্প্রদায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাস’আলা ও শর্ত

কুরআনের আয়াত ও হাদীসসমূহ থেকে ‘উলামা সম্প্রদায় “বিশুদ্ধ তাওবা/(تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا)”-এর বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাস’আলা ও শর্ত বের করেছেন। এখানে তা উল্লেখিত হলো:

উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে-

ক) প্রত্যেক পাপ থেকে “তওবা করা/(চিরতরে প্রত্যাবর্তন করা)” ওয়াজিব/(অবশ্য-কর্তব্য)।

খ) যদি গোনাহর সম্পর্ক আল্লাহর [অবাধ্যতার] সঙ্গে থাকে এবং কোন মানুষের অধিকারের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না থাকে, তাহলে এ ধরনের তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। যথা:-

১। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।

২। পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।

৩। ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে।

সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না।

গ) পক্ষান্তরে যদি সেই পাপ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা গ্রহণীয় হওয়ার জন্য চারটি শর্ত আছে। যথা:-

১। প্রথম তিনটি শর্ত উপরোক্ত তিনটি শর্তের অনুরূপ।

২। চতুর্থ শর্ত হল, হকদারদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে।

যদি অবৈধ পন্থায় কারো মাল বা অন্য কিছু নিয়ে থাকে, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে।

যদি কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দেয় অথবা অনুরূপ কোন দোষ ক’রে থাকে, তাহলে সংশিস্নষ্ট ব্যক্তির কাছে শাস্তি নিতে নিজেকে পেশ করতে হবে অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

যদি কারো গীবত করে থাকে, তাহলে তার কাছে তা বৈধ করে নেবে।

ঘ) সমস্ত পাপ থেকে তওবাহ করা ওয়াজিব। আংশিক পাপ থেকে তওবাহ করলে সেই তওবাহ হকপন্থী উলামাগণের নিকট গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে এবং অবশিষ্ট পাপ রয়ে যাবে।

Facebook
Email
Telegram
Full Name*
Email Address*
Set Username*
Set Password*